ঢাকার আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকাভথেকে জাহানারা খাতুন জান্নাতি (২২) নামের এক নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ডায়েরী। যেখানে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যার কথা থাকলেও ঘটনার পর থেকে পালিয়ে গেছে স্বামী হাবিবুর রহমান অনিক (২৭)।
শনিবার বিকেলে সাড়ে ৫ টার দিকে আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার মিন্নাত আলীর ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষথেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তাকে হত্যার পর স্বামী পালিয়েছে।
নিহত জাহানারা খাতুন জান্নাতি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে এবং স্বামী হাবিবুর রহমান অনিক পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তারা আশুলিয়ার ওই বাড়িতে ভাড়া থেকে শারমিন গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করতো।
মৃতদেহের পাশে পড়ে থাকা ডায়েরীতে লেখা ছিল" আমরা দুইজন ইচ্ছায় মরছি এইখানে কারো দোষ নাই। আমরা নিজের ইচ্ছায় মরছি। আমি আমার বউকে মারছি। বউ আমাকে মারছে। এইখানে বাড়ির কারো দোষ নাই।" এমন লেখা সম্বলিত মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে মিন্নাতের বাড়ির একটি কক্ষে নারীর মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ ফোন দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিছানায় পড়ে থাকা অবস্থায় ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহ পাশে একটি ডায়েরী পাওয়া যায়। তবে ঘরের দড়জা বাহির থেকে লাগানো অবস্থায় ছিল।
আশুলিয়া থানার এসআই আবজালুল হক জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বিছানায় ফেলে রেখে যেতে পারে। যেহেতু মুখে ফেনা ছিল, সেক্ষেত্রে বিষপানে আত্মহত্যাও হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। তার স্বামীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাকে পাওয়া গেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, মৃতদেহ পাশ থেকে উদ্ধার করা চিরকুটটি নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। চিরকুটে স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। তবে স্ত্রীর মৃতদেহ পেলেও স্বামীকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।